থাইল্যান্ড-ভিয়েতনামে সুপরিচিত সবজি স্কোয়াশ চাষে সফল হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের কৃষক সামসুল হক। মুরাদনগর উপজেলায় প্রথমবারের নতুন জাতের এই সবজি চাষ করে সফল হওয়ায় অন্য চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন এ সবজি চাষে।
রকমারি সবজি চাষি সামসুল হক শীত মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণ জমিতে পরীক্ষামূলক স্কোয়াশ চাষ করে একদিকে যেমন সফলতা পেয়েছেন, অন্যদিকে আর্থিক লাভবানও হয়েছেন তিনি। চাষি সামসুল হক উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভূবনঘর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
চাষি সামসুল হক জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে ঝিঙ্গা, লাউ, মূলা, টমেটো, বাঁধা ও ফুল কপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আসছি। ইউটিউবে স্কোয়াশ চাষ দেখে নিজে চাষ করার জন্য আগ্রহী হই। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও এই নতুন সবজি চাষে আরো উৎসাহ দেন এবং সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। উনার পরামর্শে প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে স্কোয়াশের বীজ নিয়ে বাড়িতে মিষ্টি কুমড়া বা লাউ গাছের মতো বীজ বপন করে চারা গাছ গজানোর পরে তা জমিতে রোপণ করি। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। স্কোয়াশ গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মতো। দশ শতক জমিতে চাষ করতে বীজ ক্রয়, জমি প্রস্তুত, সার ও কীটনাশকসহ পাঁচ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। জমি থেকে কিছু স্কোয়াশ বিক্রি করেছি। কয়েকদিন পর পুরোপুরি বিক্রি শুরু করবো। এই জমি থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার স্কোয়াশ সবজি বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, প্রথম চাষ তাই পরিচর্চা বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছে এবং খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আমি আরো ২৫ শতক জমিতে আরো বেশি পরিমাণ এই স্কোয়াশ চাষ শুরু করেছি।
মুুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ বলেন, স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। এই সবজি চাষে কৃষকদের তেমন ধারণা নেই। এই এলাকায় যে দু-একজন চাষ করেছেন- তারা সফল ও আর্থিক লাভবান হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই অফিসে আসছেন পরামর্শ নিতে। স্কোয়াশ চাষ বেশ লাভজনক। আশা করছি, আগামী মৌসুমে ব্যাপক আকারে স্কোয়াশ চাষ হবে। এছাড়া ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, রেড ক্যাবেজ ইত্যাদি বিদেশি সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত এবং নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কৃষি পরামর্শ দিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply