অনলাইন ডেস্ক: এ কেমন বর্বরতা! মমেক ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপম সাহা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান-এর নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ গেছে।
গেল বছর অক্টোবর মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের নতুন ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়। যেখানে অনুপম সাহা সভাপতি ও মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান সাধারণ সম্পাদক হয়।
নতুন কমিটির পর থেকে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তারা বাকি পদস্থ কর্মীদের অনুসারীদের শুরু থেকে মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জুনিয়রের বেয়াদবির অহেতুক বাহানা বানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ যারা অনুপম-হাসান এই দুই জনের বাইরে রাজনীতি করে তাদের উপড় চড়াও হয়। তখন ছাত্রলীগের অন্য সদস্য এবং কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করে।
যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিকই হয়ে গিয়েছিল পরে রাতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে মেহেদী হাসান শিমুল, সনজীব সরকার বোনাস, অনুপম দত্ত অর্ঘ্য, কুদরত-ই-খোদা স্বপন, আকিব মোস্তফা হিমেল, ওমর ফারুক, হাফিজুর রহমান, মাহিদুল হক অয়ন, সুনিতি কুমার দাশ, প্রান্ত সরকার, লিটন আলি, নাইমুর রশীদ, আকীক ইমন, প্রতীক বিশ্বাস, আশফাক কবির প্রহর, সাদমান তন্ময়, জাহিদুল হক তুষার, আবু রায়হান, শাহরিয়ার রাতুল, সানজীদ আহমেদ, শিহাব, কৌশিক তামিম, আল-আমিন, ইমরানসহ আরো ৫০-৬০ জন হঠাৎ করে অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় তারা সব রুম দখল করে সবাইকে মেরে বের করে দেয়। এমনকি তারা রুম ভাঙচুর করে সব গুড়ো করে ফেলে, রুমে থাকা মোবাইল ল্যাপটপ ক্যামেরা সব ভেঙে ফেলে। তাদের হাত থেকে রেহায় পায়নি বাইকগুলো পর্যন্ত। কিরকম বর্বর হলে এতোগুলো ছেলের মাথা ফাটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। প্রতিটি ছেলেকে মাথায় আঘাত করা হয়েছে, সবাই হাসপাতালে ভর্তি।
এদের মধ্যে আবু হানিফ রুপক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ময়মনসিংহ মেডিকেল ডিবেটিং সোসাইটি-এমএমডিএস; উপ শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, বিডিএফ স্টুডেন্টস উইং, মমেক শাখা, মেহেদী হাসান রুকন সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, এমএমডিএস, আরিফুল হাসান সৌরভ ম্যাগাজিন ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, মেডিসিন ক্লাব, মমেক ইউনিট; অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, এমএমডিএস, রামিম সরফরাজ খান কার্যকরী সদস্য, এমএমডিএস, রেজওয়ান চৌধুরী শাওন কার্যকরী সদস্য, এমএমডিএস; সহ-সম্পাদক, বিডিএফ স্টুডেন্টস উইং, মমেক শাখা, মনোজ রায় সহ-সম্পাদক, বিডিএফ স্টুডেন্টস উইং, মমেক শাখা, অয়ন হালদার সহ-সম্পাদক, বিডিএফ স্টুডেন্টস উইং, মমেক শাখা, ফারুক সদস্য, বিডিএফ স্টুডেন্টস উইং, মমেক শাখাসহ আরো অনেকে মাথা ফেটে হাসপাতালে ভর্তি।
এছাড়া আরো অনেককে বিভিন্নভাবে আহত করে। বাকি সবাই সারারাত বাইরে বাইরে ঘুড়েছে। এই কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এছাড়াও অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ৎ
এর আগে গত ৪ঠা ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠকে কেন্দ্র করে একটা উছিলা তৈরি করে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান আরিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান মমিনের অনুসারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
এসময় মমেক ছাত্রলীগ কর্মী ও ময়মনসিংহ মেডিকেল ডিবেটিং সোসাইটি (এমএমডিএস)-এর সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আমিন অলিভ-এর মাথা ফাটে এবং মমেক ছাত্রলীগ কর্মী, এমএমডিএস-এর উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও মেডিসিন ক্লাব, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার সহকারী ম্যাগাজিন ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল হাসান সৌরভ মাথায় ও পায়ে আঘাত পায় এবং আরো অনেকে আহত হয়।
তারা যদি পাল্টা আক্রমণে যেত তাহলে অবস্থা আরো বেগতিক হতো, এসময় অনেক সিনিয়র তাদের তাদের থামাতে চাইলে তাদের উপরও চড়াও হয়। সেসময় তারা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান আরিফের রুমে ভাঙচুর চালায়।
এছাড়াও অনুপম-হাসানদের বিরুদ্ধে সংগঠনের নাম বিক্রি করে মেডিকেল হোস্টেলে অবৈধ রুম দখল, সন্ত্রাস, মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। নগরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তার এবং তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি করে থাকে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত সংগঠনের নাম বিক্রি করে সব ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।
Leave a Reply